দেশীয় সংস্কৃতি রক্ষায় টিকটক বন্ধের উদ্যোগ কার্যকর হয়নি কেনো?
নতুন প্রজন্মকে ইন্টারনেটের আপত্তিকর আসক্তি থেকে বের করে আনতে ইতিমধ্যে অশ্লীল কনটেন্ট, জুয়া বা বিপথগামী সাইট বন্ধ করে দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় দেশীয় সংস্কৃতি রক্ষায় টিকটক বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো, কিন্তু ১ বছর পার হয়ে গেলেও বন্ধ করা হয়নি।
বিভিন্ন সিনেমার গান ও ডায়লগের একাংশ, ঠোঁট মিলিয়ে ভিডিও তৈরির এই অ্যাপ নিয়ে ইতিমধ্যে অন্যান্য দেশের মতো আমাদের বাংলাদেশও অনেক সমালোচনা হয়েছে, সংশ্লিষ্টরা বলছেন এ ধরনের অ্যাপস বা ওয়েবসাইটের কারণে আমাদের নতুন প্রজন্মের বেড়ে উঠা হুমকির মুখে পড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপের কারনে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে অশ্লীল কন্টেন্ট ও ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও। এর ফলে মানুষের মধ্যে এক ধরনের অসুস্থ মানসিকতা তৈরি হয়। তারা স্বাভাবিক কথা কেউও ব্যঙ্গ করে বলে। এছাড়া এসব একসময় বদভ্যাসে পরিণত হয়। এ ধরনের অ্যাপস দেশীয় সংস্কৃতির জন্য হুমকিস্বরূপ, এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।
টিকটক বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার যুগান্তরকে বলেছিলেন, শুধু টিকটক নয় দেশীয় সংস্কৃতির জন্য হুমকি রয়েছে এমন সব ধরনের সাইট আমরা বন্ধ করে দিতে চাই, আমি ইন্টারনেটকে নিরাপদ করতে চাই, আমার দেশ ইউরোপ না আমেরিকা না আমার দেশ বাংলাদেশ। তাই এ দেশের মানুষ, সমাজ, সাহিত্য, সংস্কৃতি সঙ্গে যায় না এমন কোনো কিছুকেই আমি রাখতে চাই না। তিনি আরো বলেছিলেন মানুষের জীবন ও মান ও দেশের জন্য ক্ষতিকর এসব সাইট বন্ধে কতটুকু সফল হব জানি না। তবে আমি আমার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে এই দায়িত্ব পালন করে যাব। আমি আমার দেশ, মাটি ও মাকে বাঁচাতে চাই।
কোথায় সেই দায়িত্ব? কোথায় সেই প্রতিশ্রুতি? মুখে বলা যতটা সহজ করে দেখানো ঠিক ততটাই কঠিন এই কথাটা আরো একবার প্রমান হলো।