বিদেশ থেকে আনা মোবাইল কিভাবে নিবন্ধন করবেন?
সৌদিআরব, দুবাই, কাতার, মালেশিয়া সহ বিশ্বে অনেক দেশেই প্রবাসি বাংলাদেশির সংখ্যা আমাদের কাছে অগুনিত। ৫-১০ বছর বিদেশে থাকার পর একটা সময় সবাই দেশে চলে আসেন এবং সাথে করে নিয়ে আসেন প্রিয়জনদের জন্য বিভিন্ন উপহার সামগ্রী, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মোবাইল হ্যান্ডসেট, মাত্র কিছুদিন আগেও একজন প্রবাসি বাংলাদেশি ইচ্ছে করলেই ৮-১০ টা মোবাইল আনতে পারতেন তবে সম্প্রতি বাংলাদেশে চালু হয়েছে অবৈধ ও নকল মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধে পরীক্ষামূলক ভাবে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টারের (এনইআইআর) কার্যক্রম, বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন প্রযুক্তির ব্যাপক সম্প্রসারণের পাশাপাশি ডিজিটাল অপরাধের বিস্তার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, তা নিয়ন্ত্রণ আনতে না পারলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে, এর সঙ্গে রয়েছে অবৈধ হ্যান্ডসেট চোরাচালান ও ডিজিটাল নিরাপত্তা, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এনইআইআর চালু করেছি, যা কার্যত দেশের জনগণকে প্রতারণা থেকে নিরাপদ রাখার অন্যতম হাতিয়ার।
বর্তমান ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে বিনা শুল্কে সর্বোচ্চ দুটি এবং শুল্ক দিয়ে আরও ছয়টি হ্যান্ডসেট সঙ্গে আনতে পারবেন। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, বিদেশ থেকে বৈধভাবে কিনে আনা মোবাইল ফোন দেশে চালু করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নেটওয়ার্কে সচল হবে, তবে মোবাইল চালু করার দশ দিনের মধ্যে অনলাইনে তথ্য বা দলিল দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে, নিবন্ধন হয়ে গেলে ওই হ্যান্ডসেট বৈধ বলে বিবেচিত হবে। আর তা না হলে হ্যান্ডসেটটি অবৈধ বিবেচনা করে গ্রাহককে এসএমএস-এর মাধ্যমে জানানো হবে। এবং তিন মাস সময় দেওয়া হবে এর মধ্যে যদি নিবন্ধন না করেন তাহলে তিন মাস পর ওই মোবাইলে কোনো সিমই কাজ করবে না।
বিদেশ থেকে আনা মোবাইল নিবন্ধনের জন্য neir.btrc.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে গ্রাহককে নাম মোবাইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে Registration করতে হবে রেজিষ্ট্রেশন করার পর লগইন করে মোবাইল হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নম্বর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসের ছবি/স্ক্যান কপি (যেমন পাসপোর্টের ভিসা/ইমিগ্রেশনের তথ্য, ক্রয় রসিদ ইত্যাদি) আপলোড করে Submit করতে হবে। হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে যাবে, এছাড়াও মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের সাহায্যেও এ সেবা নেওয়া যাবে।