কম্পিউটারে কত ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়? Computer software

কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার হচ্ছে একগুচ্ছ কম্পিউটার প্রোগ্রাম ও কর্মপদ্ধতি যার সাহায্যে কম্পিউটারে কোনো নির্দিষ্ট প্রকারের কাজ সম্পাদন করা যায়। আবার কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকারের সফটওয়্যার চালানো ও সার্বিকভাবে কম্পিউটার পরিচালনার করার জন্য রয়েছে এক প্রকারের সফটওয়্যার যাকে বলা হয় অপারেটিং সিস্টেম, যেমন গ্নু/লিনাক্স, ম্যাক ওএস, মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ইত্যাদি। 

এ ধরনের সফটওয়্যারগুলো কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও অন্যান্য সফটওয়্যারের মাঝে সমন্বয় সাধন করে এবং কম্পিউটারের মাধ্যমে সকল প্রকারের কাজ সম্পাদনে সাহায্য করে। এছাড়া প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকারের সফটওয়্যার তৈরি করা হয, একটি কম্পিউটারে প্রধানত ৩ প্রকার সফটওয়্যার ব্যবহার হয়ে থাকে সেগুলো হলো, সিস্টেম সফটওয়্যার ,প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার এবং এপ্লিকেশন সফটওয়্যার,।



সিস্টেম সফটওয়্যার

সিস্টেম সফটওয়্যারের কাজ হচ্ছে একটি কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার কে পরিচালনা করা এবং এপ্লিকেশন সফটওয়্যার গুলোকে কাজ করার উপযোগী পরিবেশ প্রদান করা। এটাতে আছে ডাইগনস্টিক টুলস, কম্পাইলার, সার্ভার, ইউটিলিটি, ভাষা পরিবর্তনের সুযোগ, ডেটা আদান প্রদানের সুযোগ, ডেটাবেস সিস্টেম এবং আরো অনেক কিছু। সিস্টেম সফটওয়্যারের উদ্দেশ্য হল, এপ্লিকেশনগুলোকে পৃথক করা প্রোগ্রামারদের জন্য যাতে জটিলতা এবং বিশেষ ব্যবহার এড়িয়ে চলা যায় এই সিস্টেম সফটওয়্যারের আবার তিনটি প্রকার আছে সেগুলো হলো।

কম্পিউটারের বাইওস (BIOS) এবং ডিভাইস ফার্মওয়্যার ( firmware) যেটা হার্ডওয়্যার  পরিচালনার এবং নিয়ন্ত্রণের সাধারণ কাজ করে থাকে।

অপারেটিং সিস্টেম যা কম্পিউটারের সকল অংশকে একত্রে কাজ করায়। যেমন ডেটা আদান প্রদান, আউটপুট তৈরী এবং প্রদর্শন।

ইউটিলিটি সফটওয়্যার এটা কোন কিছু বিশ্লেষণ বাছাই বা পছন্দ নির্ধারণ, তরান্বিতকরণ এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা দেয়।


প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার

প্রোগ্রামিং সফটওয়্যারের কাজ হচ্ছে কোনো সফটওয়্যার তৈরি, ডিবাগ, নিয়ন্ত্রণ, রক্ষণাবেক্ষণ অথবা অন্য প্রোগ্রাম বা অ্যাপলিকেশনগুলোকে সহযোগিতা করতে। সাধারণ অর্থে এটি বোঝায় সাধারণ প্রোগ্রাম যা একত্র করা হয়েছে প্রদত্ত একটি নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনার জন্য, যেমনটা একজন ব্যক্তি একটি যন্ত্র দিয়ে একাধিক যন্ত্রাংশ ঠিক করতে পারে।

প্রোগ্রামিং সফটওয়্যারের টুল বা প্রোগ্রাম টার্মটি আসে ব্রায়ান কার্নিগান এবং পি. জে. প্লাজার-এর বই থেকে তারপর ১৯৫০ এর দশকে লিঙ্কার, লোডার এবং নিয়ন্ত্রণ প্রোগ্রামগুলো মাধ্যমে এর ব্যবহার শুরু হয়। আর এটি জনপ্রিয় হয় ১৯৭০ এর দশকে যেখানে গ্রিপ, এডব্লউকে এবং মেক এ ব্যবহার করা হত। এগুলো ছিল সত্যিকার অর্থে সাধারণ এবং ঝামেলাহীন। কিছু কিছু রক্ষণাবেক্ষণ করার সাথে সাথে এগুলো আবার একই সঙ্গে শক্তিশালী উন্নয়নকাজে ব্যবহার করা হত।


এপ্লিকেশন সফটওয়্যার

এপ্লিকেশন সফটওয়্যার সিস্টেম ও প্রোগ্রামিং সফটওয়্যারের থেকে একমদই আলাদা এটি যে কাজের জন্য তৈরী করা হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে এটা লেখা, সংখ্যা, ছবি অথবা এই সবগুলোর সমন্বয়ে হতে পারে। কিছু কিছু এপ্লিকেশন প্যাকেজ কম্পিউটারের একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য হতে পারে যা সবাই ব্যবহার করে একই উদ্দেশ্য এবং এটি শুধু একটি সুবিধা বা উদ্দেশ্যের উপর জোর দেয় যেমন ওয়ার্ড প্রসেসিং| অন্যগুলোকে ডাকা হয় ইন্টিগ্রেটেড সফটওয়্যার যেগুলো একই সঙ্গে একাধিক সুবিধার উপর জোর দেয়। 

ব্যবহারকারী দ্বারা তৈরী বা লিখিত সফটওয়্যার সিস্টেমে ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর কাঙ্ক্ষিত কাজ করা যায় এগুলো হল স্প্রেডশিট টেমপ্লেট, ওয়ার্ড প্রসেসরের ম্যাক্রো, গ্রাফিক্স অথবা এনিমেশনের স্ক্রিপ্ট ইত্যাদি। এমনকি ইমেইলের ফিল্টারও একধরনের ব্যবহারকারী লিখিত সফটওয়্যার। এপ্লিকেশন সফটওয়্যারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সফটওয়্যার গুলো হচ্ছে পণ্য প্রকৌশলন সফটওয়্যার, কন্টেন্ট এ্যাকসেস সফটওয়্যার,বিনোদনের সফটওয়্যার, শিক্ষামূলক সফটওয়্যার, প্রতিষ্ঠানের সাংগঠনিক সফটওয়্যার, কৃত্রিম অনুকরন সফটওয়্যার, মিডিয়া উন্নয়ন সফটওয়্যার ইত্যাদি।

Next Post Previous Post
1 Comments
  • MD.Tanvir Rana
    MD.Tanvir Rana June 23, 2022 at 4:50 PM

    দরকারী কিছু বিষয়

Add Comment
comment url