মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট সম্পর্কিত সকল তথ্য
মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট হচ্ছে মাইক্রোসফট কর্পোরেশন ধারা পরিচালিত একটি স্লাইড শো উপস্থাপনা প্রোগ্রাম এবং মাইক্রোসফট অফিস স্যুটের একটি অংশ এটি একটি প্রেজেন্টেশন প্রোগ্রাম। যেটা শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, উপস্থাপনা ও প্রচারমাধ্যম থেকে শুরু করে সকল প্রকার দাপ্তরিক কাজে ব্যবহৃত হয়।
১৯৮৭ সালে ডেনিশ অস্টিন ও থমাস রুডকিন মাকিন্টোশ ফরথট ইঙ্ক কম্পানির হয়ে পিসির জন্য প্রথম একটি উপস্থাপনা প্রোগ্রাম তৈরি করেন, যার নামকরণ করা হয় পাওয়ার পয়েন্ট, নামটির ধারণা দেন রবার্ট গাস্কিন্স পরবর্তীতে মাইক্রোসফট ১৪ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে এই প্রোগ্রাম টি কিনে নেয় ১৯৯০ সালে পাওয়ার পয়েন্ট আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে এবং সফটওয়্যারটির আরও উন্নতি শাধন করে।
কম্পিউটারে মাইক্রোসফট অফিস প্রোগ্রামটি ওপেন করলেই এই পাওয়ার পয়েন্ট অপশনের দেখা মিলবে। MS Word এর প্রতিটি ফাইলকে যেমন Document বলা হয়, তেমনি পাওয়ার পয়েন্টের ফাইল Presentation নামে পরিচিতি পাবে। তাছাড়া MS Word এ যেমন Page থাকে, পাওয়ার পয়েন্ট ঠিক তেমনি Slide থাকে। একটি স্লাইডে লেখা শেষ হলে Ctrl+M টিপলে পরবর্তী স্লাইড নেয়া যাবে। প্রতিটি স্লাইডের সাধারণ মাপ হচ্ছে ৩৫mm
পাওয়ার পয়েন্টের প্রতিটি স্লাইডে বাক্সের আকারে দুটি অংশের দেখা মিলবে। উপরেরটিতে "Click to add title" লেখা থাকে, এখানে প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তুর শিরোনাম বা হেডলাইন লিখতে হয়। সেক্ষেত্রে অবশ্যই বড় আকারে আকর্ষণীয় ফন্টে শিরোনাম লিখতে হবে। আর নিচের অংশে লেখা থাকে "Click to add subtitle", এখানে বিষয়বস্তুর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা প্যারাগ্রাফ আকারে বা বুলেট পয়েন্টের আকারে লিখতে হয় অথবা ছবি সংযোজন করতে হয়। প্রয়োজনভেদে এই অংশে শর্ট ভিডিও ক্লিপ অথবা অডিও ফাইল যোগ করা যায়। সেভ করার জন্যে প্রতিবার "Ctrl+S" টিপতে হবে।
পাওয়ার পয়েন্টের Ribbon অংশে কয়েকটি প্রয়োজনীয় অপশন রয়েছে। যথা-
HOME- এখানে লেখার ফন্ট স্টাইল, কালার ও সাইজ সেট করতে হয়। প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি বুলেট পয়েন্ট আকারে লেখার ব্যবস্থা এখানে পাওয়া যাবে।
INSERT- লেখার পাশাপাশি ছবি, ভিডিও, অডিও ফাইল, গ্রাফচিত্র এসব ব্যবহারের জন্যে এর প্রয়োজন হয়।
DESIGN- এখানে স্লাইডগুলির রঙ ও ডিজাইন সিলেক্ট করার প্রয়োজনীয় অপশন থাকে।
TRANSITIONS এবং ANIMATION- এই দুটি অপশনের কাজ প্রায় কাছাকাছি। স্লাইডগুলিকে নান্দনিকভাবে উপস্থাপনের জন্যে উপরোক্ত অপশনদুটির সাহায্যে অ্যানিমেশন অথবা ইফেক্ট সৃষ্টি করা যায়। যেমন-স্ক্রিনে কালো পর্দাটি সরে গিয়ে প্রথম স্লাইড দেখতে পাওয়া গেলো অথবা স্লাইডটি পাখির মতো বা প্লেনের মতো উড়ে গিয়ে পরবর্তী স্লাইড চলে এলো, আবার পরবর্তী স্লাইডটি ভেসে এসে আগের স্লাইডটিকে সরিয়ে দিলো... এমনই এসব নান্দনিক ইফেক্ট এখানে তৈরি করা সম্ভব।
প্রেজেন্টেশন তৈরির সমস্ত কাজটি শেষ হবার পর ধাপে ধাপে পরবর্তী স্লাইড দেখার জন্যে Right navigation key টিপতে হবে। অথবা কীবোর্ডের F5 টিপলে Auto slide show শুরু হবে, শেষ হলে Esc টিপতে হবে।