অনলাইন প্যাসিভ ইনকাম সম্পর্কিত সকল তথ্য!
অনলাইন থেকে দুই ধরনের ইনকাম করা যায় একটি হচ্ছে এক্টিভ ইনকাম আরেকটি হচ্ছে প্যাসিভ ইনকাম, গতকাল আমি এক্টিভ ইনকাম সম্পর্কে একটি টিউটোরিয়াল শেয়ার করেছিলাম আর আজকে শেয়ার করতে যাচ্ছি অনলাইন প্যাসিভ ইনকাম কি? অনলাইনে কি কি কাজ করে প্যাসিভ ইনকাম করা, অনলাইন পার্ট টাইম প্যাসিভ ইনকাম করার উপায়, অনলাইনে লাইফ টাইম প্যাসিভ ইনকাম করার উপায় সহ প্যাসিভ ইনকাম সম্পর্কিত সকল তথ্য।
প্যাসিভ ইনকাম কি?
প্যাসিভ ইনকাম হচ্ছে আপনি কোনো একটা কাজ একবার করবেন আর সারা জীবন সেখান থেকে ইনকাম আসবে। অনলাইন প্যাসিভ ইনকামের জন্য সবচেয়ে ভালো মাধ্যমে গুলো হচ্ছে ইউটিউবিং, ব্লগিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি,,,
এই যে আপনি এই আর্টিকেল টা পড়ছেন এটা তৈরি করতে আমার ২ ঘন্টা সময় লেগেছে, আর কখনো এই টিউটোরিয়ালে কোনো কাজ করতে হবেনা। কিন্তু এই দুঘন্টা পরিশ্রমের মজুরি আমি লাইফ টাইম পেতে থাকবো, মানুষ প্যাসিভ ইনকাম সম্পর্কে যদি কেউ গুগলে সার্চ করে তাহলে তার সার্চ রেজাল্টে অন্যান্য টিউটোরিয়ালের পাশাপাশি আমার টিউটোরিয়ালও আসবে মানুষ আমার টিউটোরিয়ালটি দেখবে, যত বেশি মানুষ দেখবে তত বেশি এড শো করবে যত বেশি এড শো করবে তত বেশি ইনকাম হবে। এভাবে কিন্তু লাইফটাইম ভিজিটর আসতে থাকবে আর আমারও ইনকাম হতে থাকবে। কিন্তু কাজ তো একবারই করেছিলাম!
লাইফটাইম প্যাসিভ ইনকাম
আপনি যদি অনলাইনে লাইফ টাইম প্যাসিভ ইনকাম করতে চান তাহলে ইউটিউবিং অথবা ব্লগিং শিখুন, ইউটিউব শিখতে হলে ভিডিও তৈরি ও এডিট করার পাশাপাশি থাম্বনেইল তৈরি করা শিখতে হবে আর একটি ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে ম্যানেজ করবেন কিভাবে এসইও করবেন? কিভাবে মনিটাইজ করবেন এই সকল বিষয়াবলী ইউটিউবেই শিখতে বানচানতে পারবেন।
আর যদি ব্লগিং শিখতে চান তাহলে আপনাকে সবার প্রথমে শিখতে হবে আর্টিকেল রাইটিং ওয়েবসাইট তৈরি করা ম্যানেজ করা, ওয়েবসাইট এসইও করা এবং মনিটাইজ করার সকল বিষয়াবলী জানতে ও শিখতে হবে। ব্লগিং অথবা ইউটিউব যেটাই শিখেন না কেনো পুরোপুরি ভাবে কাজ শিখতে ৩-৪ মাস সময় লাগবে, ভালো ভাবে কাজ শিখে মনোযোগ দিয়ে টানা ৬ মাস কাজ করতে হবে, তারপর আপনি ইনকাম শুরু হবে বলে আশা করা যায়। মোট কথা আপনি যদি আজকে সিন্ধান্ত নেন যে অনলাইনে লাইফ টাইম প্যাসিভ ইনকাম করবেন তাহলে আগামী ১ বছর এর পিছনে সময় দিতে হবে।
পার্ট টাইম প্যাসিভ ইনকাম
অনেকে আছেন যারা চাকরি অথবা পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইন থেকে পার্ট টাইম কাজ করে প্যাসিভ ইনকাম করতে চান তাদের জন্য সবচেয়ে সহজ একটি মাধ্যম বা উপায় হচ্ছে লিংক শর্টনার বা কপি-পেস্ট জব, যেকোনো ভাইরাল টপিক বা নিউজ অথবা প্রোয়জনীয় কোনো টিউটোরিয়ালের লিংক একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শর্ট করে সেই লিংক বিভিন্ন বিভিন্ন সোশ্যাল সাইট ও বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে হবে, আপনার শেয়ার করা লিংকে যদি ১০০০ ভিউ আসে তাহলে আপনি ৩-১৬ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন, ভিউ বা ক্লিক যত বেশি আসবে আপনার ইনকাম তত বেশি হবে।
এই কপি-পেস্টের কাজ শিখতে বেশি সময় লাগবে না আপনি ইউটিউবে একটি ভিডিও দেখে একদিনেই সব কিছু বুঝতে পারবেন। কাজ বুঝার পর প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিট করলেই হবে। আপনি যদি প্রতিদিন ১০ টা করে লিংক কপি-পেস্ট করেন তাহলে ৩০ দিনে ৩০০ ৩ মাসে ৯০০ প্রতিদিন যদি প্রতিটা লিংক থেকে ১ টা করে ক্লিক আসে তাহলেই আপনার প্রতিদিন ২০০-৩০০ টাকা ইনকাম হবে।
আর যদি আপনি ইংরেজি ভালো বুঝেন তাহলে সিপিএ অথবা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন কাজ শিখতে মাস খানেক লাগবে। এবং প্রতিদিন ২০-২৫ মিনিট কাজ করলেই হবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোনো একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের যেকোনো পণ্যের প্রচারনা করা, উদাহরণ সরূপ আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে amazon এ একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে জয়েন করলেন তারপর তাদের যেকোনো এটি পোডাক্টের লিংক আপনি ফেসবুক কোরা অথবা যেকোনো জায়গা শেয়ার করলেন বা সেই পোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলেন। তারপর আপনার লিংকে ক্লিক করে কেউ যদি সেই পোডাক্টটি অর্ডার করে তাহলে আপনি সেই পোডাক্ট মূল্যের ৩-১০ ভাগ কমিশন পাবেন।
আর আপনি যদি অনলাইনে এক্টিভ ইনকাম করতে চান তাহলে ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন অথবা ডিজিটাল মার্কেটিং শিখুন তবে আমার পরামর্শ হচ্ছে আপনি ইউটিউব, ব্লগিং অথবা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অর্থাৎ প্যাসিভ ইনকাম শিখুন, হ্যাঁ এ কথা সত্যি যে প্যাসিভ করতে সময়ে দরকার তবে ইনকাম শুরু হলে লাইফটাইম আসতেই থাকবে। তাই এখানে ধৈর্য ধরে লেগে থাকতে হবে, লেগে থাকুন।
ছোট বেলায় একটা কথা শুনতাম লেখাপড়া করে যে গাড়ি ঘোরায় চড়ে সে, অর্থাৎ লেখাপড়া করে গ্রেজুয়েট হলে ভালো একটা চাকরি পাবে ভালো ভাবে জীবনযাপন করতে পারবে। শুধু মাত্র ভালো একটা চাকরির জন্য আপনি ২০-২৫ বছর পড়াশোনা করলেন, তারপরও সেই চাকরির কোনো গ্যারান্টি নেই, যেকোনো সময় চলে যেতে পারে, আর যেখান থেকে সারাজীবন স্থায়ীভাবে ইনকাম করতে পারবেন সেই প্যাসিভ করার জন্য আপনি এক বছর সময় দিতে পারবেন না?