সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়?

আমি সব সময় সবাইকে বলে থাকি যে ফেসবুকে অযথা সময় নষ্ট না করে সেই সময় টাকে কাজে লাগান কারণ বর্তমানে ফেসবুক থেকে ইনকাম করার অনেক গুলো উপায় আছে। তবে এখন আমি যেই উপায় টি শেয়ার করতে যাচ্ছি এটি আমি কখনো কাউকে বলিনি আমি যেই উপায় বা পদ্ধতিটা শেয়ার করতে যাচ্ছি এটা ফলো করলে দুটি উপকার হবে! এক ফেসবুকে নিজের একটা ফ্যানব্যাচ তৈরি হবে এবং একটা সময় আর্থিক ভাবেও সফলতা আসবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়



কিভাবে কাজ শুরু করবেন?

আমি সব সময় সবাইকে বলে থাকি যে ফেসবুকে অযথা সময় নষ্ট না করে সেই সময় টাকে কাজে লাগান কারণ বর্তমানে ফেসবুক থেকে ইনকাম করার অনেক গুলো উপায় আছে। তবে এখন আমি যেই উপায় টি শেয়ার করতে যাচ্ছি এটি আমি কখনো কাউকে বলিনি।

প্রথমে সুন্দর একটি নাম খুঁজে সেই নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ খুলুন, আপনার প্রথম কাজ হচ্ছে সেই গ্রুপে আপনি নিয়মিত সাস্থ্য বিষয়ক টিউটোরিয়াল শেয়ার করতে থাকুন। নিয়মত এভাবে পোষ্ট করতে হবে।

পোষ্ট করার পাশাপাশি গ্রুপে সদস্য সংখ্যা বাড়াতে হবে এর জন্য আপনি আপনার ফেসবুকের সকল বন্ধুদের সেই গ্রুপে যুক্ত করার জন্য ইনভাইট করে দিন।

আপনার সকল বন্ধুদের ইনভাইট করা হয়ে গেলে আপনি একশত জনের একটা তালিকা করুন যারা আপনার এই গ্রুপে সদস্য বাড়াতে সহযোগিতা করবেন।

একশত জনের তালিকা করার পর তাদের মধ্যে সবাইকে একজন একজন করে বলবেন তারা যেনো তাদের ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা সকল বন্ধুদের এই গ্রুপের সদস্য হওয়ার জন্য ইনভাইট করে।

তারা সবাই যদি এক হাজার করে সদস্য এড করতে পারে তাহলে আপনার গ্রুপে সদস্য সংখ্যা এক লক্ষ হয়ে যাবে, আর এক লক্ষ সদস্য হওয়ার পর দিন দিন এমনিতেই সদস্য সংখ্যা বাড়তে থাকবে।

মনে রাখবেন একদিনের জন্যও পেষ্ট করা বন্ধ করার যাবেনা, গ্রুপে সদস্য সংখ্যা বাড়ুক আর না বাড়ুক নিয়মিত পোষ্ট করে যেতে হবে।

যখন আপনার গ্রুপে লক্ষাদিক সদস্য হয়ে যাবে তখন প্রতিদিন সাস্থ্য বিষয়ক টিউটোরিয়াল শেয়ার করার পাশাপাশি আপনি সাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন পোডাক্টের রিভিউ করবেন যেখানে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক যুক্ত করে দিবেন এতে করে মানুষ খুব সহজেই তাদের প্রোয়জনীও পোডাক্ট গুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবে এবং আপনার দেওয়া লিংকে ক্লিক করে খুব সহজেই সেটা অনলাইনে অর্ডার করতে পারবে।

আর আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংকে ক্লিক করে কেউ যদি কোনো পোডাক্ট অর্ডার করে তাহলে আপনি সেই পোডাক্টের দামের ৫% থেকে ৪০% পর্যন্ত কমিশন বোনাস পাবেন।

সাস্থ্য বিষয়ক অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক গুলো মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে click bank shareasale nutriprofitএই মার্কেট গুলোতে কিভাবে জয়েন হবেন কিভাবে পোডাক্টের লিংক জেনারেট করবেন সেগুলো ইউটিউবের সাহায্য খুব সহজেই জানতে ও শিখতে পারবেন।

আপনার কি কি উন্নতি হলো?

আপনার একটি ফেসবুক গ্রুপ আছে যেখানে লক্ষাদিক সদস্য আছে, আপনি চাইলেই যেকোনো বিষয় টপিক তথ্য বা নিউজ খুব সহজেই লক্ষ মানুষের সমানে তুলে ধরতে পারবেন খুব সহজেই।

সাস্থ্য সকল সুখের মূল আর আপনি আপনার গ্রুপে সাস্থ্য সম্পর্কে নিয়মিত পোষ্ট করে যাচ্ছেন যেগুলো লক্ষ মানুষ দেখছে এবং উপকৃত হচ্ছেন তার জন্য আপনি সবার দোয়া ও ভালোবাসা পাচ্ছেন।


আপনি আপনার গ্রুপে বিভিন্ন পোডাক্টের রিভিউ করেছিলেন সেগুলো মানুষ দেখেছে এবং অনলাইনে অর্ডার করছে, যার বিনিময়ে আপনি প্রতিমাসে স্থায়ীভাবে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারছেন, যতবেশি অর্ডার হবে তত বেশি ইনকাম হবে। এবং এই ইনকাম লাইফটাইম চলামান থাকবে।

সবশেষে! আপনি কিভাবে কি করবেন তার একটা ছোট ওভারভিউ দিচ্ছি প্রথমে একটি গ্রুপ খুলেবেন তারপর নিয়মিত সেই গ্রুপে সাস্থ্য বিষয়ক টিউটোরিয়াল পোষ্ট করবেন। 

আপনার দ্বিতীয় লক্ষ হচ্ছে গ্রুপে লক্ষাদিক সদস্য যু্ক্ত করা কিভাবে করবেন সেই নিয়ম বা টিপস টা আমি বলে দিয়েছি। মনে রাখবেন লক্ষাদিক সদস্য না হওয়া পর্যন্ত কোনো পোডাক্ট রিভিউ দিবেন না।

যখন আপনার গ্রুপে লক্ষাধিক সদস্য হয়ে যাবে তখন আপনি আপনার গ্রুপে পোডাক্ট রিভিউ লিখে পোষ্ট করবেন যেখানে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক থাকবে।

তারপর নিয়মিত প্রতিদিন ৪-৫ টি টিউটোরিয়াল পোষ্ট করবেন এবং একটি করে পোডাক্ট রিভিউ করবেন। এভাবে আপনার কাজ চলমান রাখতে হবে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url